৭ কিলোমিটার জুড়ে গাড়ির সারি, ফেরির জন্য ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। শনিবার ও রবিবার ভোর থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা।

সরেজমিন রবিবার দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ পৌর জামতলা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সারি তৈরি হয়েছে। নদী পারের অপেক্ষায় দেড়-দুই হাজার যানবাহন সিরিয়ালে অপেক্ষা করছে। ঘাটের ওপর চাপ কমাতে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসগুলো উজানচর হয়ে ফেরিঘাটে যাচ্ছে।

এদিকে, সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় সেখানে ভোগান্তি হয়নি। তবে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বলে অনেক যাত্রীই অভিযোগ করেন।

অপরদিকে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পল্টুনে দেখা যায়, ভেঙে ভেঙে আসা বহু যাত্রী ফেরিতে পদ্মা নদী পার হয়ে গন্তব্যে ফিরছেন।

শ্যামনগর থেকে আসা যাত্রীবাহী পরিবহন চালক তারেক বলেন, ‘শনিবার রাত ১২টার দিকে ঘাটে এসেছি। ১০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলো এখনও ফেরিঘাটে যেতে পারিনি। সারারাত জেগে ছিলাম। একটু একটু করে বাস টানতে হয়েছে। মনে হচ্ছে আরও ২-৩ ঘণ্টা লাগবে।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘এই ঈদে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরি চলাচল করছে।দু একদিনের মধ্যেই এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’