এলপিজির দাম কমলো

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম ২৪৪ টাকা কমিয়ে এক হাজার ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা মার্চে এক হাজার ৪২২ টাকা টাকা ছিল।

রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসি সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, মো. কামরুজ্জামান, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান।

তবে নতুন ঘোষিত এ দামে এখনই গ্যাস বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাস সরবরাহকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি সেলিম খান এবং সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের কোরাইশি।

বিইআরসি কার্যালয়ে ভোক্তাকণ্ঠকে তারা বলেন, বিইআরসি থেকে আজ এলপিজির যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, এর থেকে বেশি দামে কেনা পড়েছে। তাই নতুন দামের সিলিন্ডার কোম্পানি থেকে না আসা পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব নয়।

এর আগে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৬ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৪২২ টাকা নির্ধারণ করে বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৬৬ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তার আগের মাসে জানুয়ারিতে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমিয়ে এক হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। গত ডিসেম্বরে যার দাম ছিল এক হাজার ২৯৭ টাকা। তার আগের মাসে (নভেম্বর) ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২০০ টাকা থেকে ৫১ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ২৫১ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।

আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। ফলে সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্যও ওঠানামা করে।