বিদ্যুৎ উৎপাদনে আবারও রেকর্ড

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আবারও রেকর্ড করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল রাত ৯টায় দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট। 

সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হলো আজ রাত ৯টায়। এসময় বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড হয়েছে ১৫ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট।

এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ১৫ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াট। এছাড়াও গত ১২ এপ্রিল ও ১১ এপ্রিল রাতেও দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়। ১২ এপ্রিল বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১৪ হাজার ৯৩২ মেগাওয়াট, আর ১১ এপ্রিল রাত ৯টায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। তবে ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্বাভাবিক হারে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেয় সরকার। এসময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মধ্যে ছিল এলাকাভিত্তিক সিডিউল করে লোডশেডিং, সপ্তাহে এক দিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা।

এছাড়াও রাত আটটার পর শপিং মল বন্ধ, সরকারি-বেসরকারি সভা ভার্চুয়ালি এবং অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর টানা কয়েক মাস বিদ্যুতের সমস্যায় ভুগতে হয় দেশবাসীকে। তবে শীতকাল চলে আসায় বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকটা কেটে যায় এবং আস্তে আস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরেও রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশের বিভিন্ন যায়গায় লোডশেডিং হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও এ লোডশেডিং ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অত্যাধিক গরমের কারণে চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করেও লোডশেডিং করতে হচ্ছে। গরম কমে গেলে এ সমস্যা থাকবে না বলেও জানান তারা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট, আর ক্যাপটিভ সহ ২৬ হাজার ৫৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু এর আগে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৮০ লাখ। মাথা পিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০৯ কিলোওয়াট। বিদ্যুতের আওতায় শতভাগ এবং সোলার হোম সিস্টেমে রয়েছে ৬০ লাখ মানুষ।