জরিমানা নয়, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করলো ভোক্তা অধিদপ্তর

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের মজুত থাকা সত্ত্বেও ভোক্তা পর্যায়ে হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০-৪২ টাকা কেজি এখন সেই পেঁয়াজ ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনা ১০-১৫ টাকা বেশী।  

পেঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধির কারসাজিতে পাইকারী ব্যবসায়ীদের হাত আছে কি না, তদারকি করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাজধানীর শ্যামবাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদার পাইকারী আড়তে তদারকি করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান এবং শরীফুল ইসলাম।

শ্যামবাজারের আলী ট্রেডার্স, পপুলার বাণিজ্যালয়, স্মৃতি বাণিজ্যালয়, মেসার্স রামপাল বাণিজ্যালয়সহ পাঁচটি পেঁয়াজের আড়তে তদারকি করা হয়। 

এ সময় দেখা যায়, সব আড়তেই পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। কিছু আড়তের মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রি মূল্যের মিল নেই। পেঁয়াজ ক্রয়ের পাকা রশিদ না থাকাসহ ছোট ছোট কিছু অপরাধ পাওয়া যায়।

তবে শুধুমাত্র মেসার্স রামপাল বাণিজ্যালয়কে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করলেও বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু সতর্ক করে দেন ভোক্তা কর্মকর্তারা।

শ্যামবাজার পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটির এক সদস্য বলেন, ব্যবসায়ীরা কিভাবে চলবে, সরকারের পক্ষ থেকে কি কি চাওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে আমরা এখনও ভালোভাবে বুঝতে পারছি না। আমরাও সরকারের প্রতিনিধিদের বোঝাতে পারছি না। এতে আমাদের ব্যবসায়ীদের ছোট খাট ভুল থেকে যাচ্ছে। এ কারণে জরিমানা গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আমরা সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে বসতে চাই। তারা আমাদের বলে দিক কি কি থাকতে হবে বা কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। আমরাও চাই সঠিক ভাবে ব্যবসা করতে। জরিমানা দিতে আমরা চাই না।