অস্থিতিশীল নিত্যপণ্যের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, আটা, ডাল, মুরগি, চিনি, সয়াবিন তেলের পর এবার আলুর দামও বেড়েছে। বেড়েছে ডিমের দামও। বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজের দাম। আর বেশিরভাগ সবজির দামই বাড়তি। এছাড়া মাছ-মাংসের বাজারেও রয়েছে অস্থিতিশীলতা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা ডজনের ডিম কিনতে এখন ক্রেতাকে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা গুনতে হচ্ছে। প্রতিকেজি আলু খুচরা বাজারে ২২ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪ থেকে ৫ দিন আগেও দাম ছিল ১৬ থেকে ২০ টাকা। ভোজ্য তেলের মধ্যে সয়াবিন তেলের দামই এখন ১৫০-১৫৫ টাকা লিটার, বছরের শুরুতে যার দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা লিটার। ১৪০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে পাম তেল। এ ছাড়াও দাম বেড়েছে সরিষা, রাইসব্রান, সূর্যমুখীর তেলের।

রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি জাতের চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকারভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের ইলিশ এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। ছোট আকারেরগুলো বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

বাজারে এক কেজি শিমের দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং প্রতি পিস ফুলকপি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। বাজারে মানভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

টিসিবির তথ্য মতে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট স্বর্ণা ও বিআর-২৮ জাতীয় চালের দাম প্রতি কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দর ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। নাজিরশাইলের কেজিতেও বেড়েছে দুই টাকা। গেল সপ্তাহে ৫৬ থেকে ৬৬ টাকা বিক্রি হলেও বিক্রেতারা এখন দাম রাখছেন ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা। আর এক টাকা বেড়ে মিনিকেট চালের দর দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৫৬ টাকায়। আটার কেজি ৩৩ থেকে ৩৫ ও ময়দার কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বাসাবো বাজারের মুদি দোকানদার আবুল হাওলাদার বলেন, কিছু দিন ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। বাজারে পাইকার ও কোল্ডস্টোরেজের মালিকরা আগের চেয়ে কম পরিমাণে আলু দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

বাগানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা একের পর এক পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। যে যেমনি পারছে ব্যবসা করছে। এগুলো দেখার কেউ নাই। অথচ স্বল্প আয়ের মানুষের টিকে থাকতে দিন রাত কষ্ট করতে হচ্ছে।