নিয়ম না মানায় রাইড শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ভোগান্তি!

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক

সব সয়সী নাগরিকদের মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হলেও বাড়ছে ভোগান্তি। অ্যাপ প্রতিষ্ঠানের অধিক কমিশন নেওয়ার কারণে রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেলচালক অ্যাপে যাত্রী পরিবহনে অনাগ্রহী। ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

কোনো ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকছেন। ফলে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি ভাড়াতেই মোটরসাইকেলে চড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। আবার যাত্রীর কাছে চালকের পরিচয় ও প্রাথমিক তথ্য না থাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকিও থাকছে।

রাজধানীর শুক্রাবাদ, কলাবাগান, পান্থপথসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি মোড়েই মোটরসাইকেল নিয়ে চালকরা যাত্রীর অপেক্ষা করছেন। চালকরা পথচারীদের গন্তব্যের কথা জিজ্ঞেস করছেন। দরদাম মিললেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলছেন। বিশৃঙ্খল অবস্থায় যেখানে-সেখানে যাত্রী উঠানামা করছেন যাত্রীরা।

চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, অ্যাপ কোম্পানি তাদের আয়ের ২৫ শতাংশ কেটে রাখছে।অনেক ক্ষেত্রে আবার  বেশিও কাঁটছেন। এ টাকায় তাদের হচ্ছে না।  তেলের টাকাই উঠে না। তাই বাধ্য হয়েই অ্যাপ ছেড়ে চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছেন তারা।

কাওরান বাজারে কথা হয় কামাল নামের এক চালকের সঙ্গে , তিনি বলেন, রাইড শেয়ার করে যা টাকা পাই তার শতকরা ২৫ টাকা কেটে নেয় অ্যাপ কোম্পানি। ১০০ টাকা আয় করলে তাতে জ্বালানি খরচ ৪০ টাকা, নেট ও ফোন খরচ ৫ টাকা, অ্যাপ কমিশন ২০/২৫ টাকা, আবার এক কিলোমিটার দূর থেকে কাস্টমারকে পিক করার খরচ ১০ টাকা। মোট খরচ ৭৫/৮০ টাকা। দেখা যায়, চালককে ২০ টাকা নিয়ে খুশি থাকতে হয়। তাই এখন অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারের আগ্রহ নেই।

চালক ইসমাইল বলেন, অনেক সময় যাত্রীরা নির্দিষ্ট লোকেশনে না থকে অন্য জায়গার দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের পিক করতে তীব্র যানজট ও ইউলুপ ঘুরে যেতে হয়। যা অ্যাপ কাউন্ট করতে পারে না। ফলে আমাদের অতিরিক্ত তেল খরচ হয়। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের টাকা পাওয়া যায় না।

যাত্রীরাও বলছেন, রাইড শেয়ারিং আশীর্বাদ হলেও সমন্বয়হীনতার কারণে এখন ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। ট্রিপ শুরুর আগে এক রকম ভাড়া এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পর তারচেয়ে বেশি ভাড়ায় নাজেহাল যাত্রীরা। আবার অনেক চালক ট্রিপ শুরুর পর তা চালু না করে গন্তব্যে পৌঁছানোর পর ইচ্ছেমতো ভাড়াও আদায়ের মাধ্যমে যাত্রীদের হয়রানি করেন।

বেসরকারি চাকুরে হাবিব নামের এক যাত্রী বলেন, অ্যাপের চেয়ে দরদাম করে ফিক্সড করে যাওয়াই ভালো। একদিন অ্যাপে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভাড়া দেখেছি ২০০ টাকা কিন্তু, গন্তব্যে পৌঁছে দেখি ৩০০ টাকা। এরপর থেকে আর অ্যাপে যাই না বরং দরদাম করেই যাই।