লিবিয়ান কোস্টগর্ডের হাতে আটক ৫০০ অভিবাসন প্রত্যাশী

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক

সমুদ্রপথে ইউরোপ যাওয়ার পথে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটক করেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড বাহিনী। খবর: আল জাজিরা

রোববার আটক হওয়া এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষের মধ্যে বাংলাদেশ, সুদান, সোমালিয়া ও সিরিয়ার নাগরিক রয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যশীদের বহনকারী নৌকাটি রোববার ধরা পড়ে এবং এর যাত্রীদের লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জাভিয়ার একটি তেল পরিশোধনাগার পয়েন্টে নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে আটকানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন দেশের কতজন নাগরিক রয়েছেন, তা জানানো হয়নি।

এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ধরা পড়ার সবশেষ ঘটনাটি এটি। এর মাত্র একদিন আগে, অর্থাৎ গত শনিবার (২ অক্টোবর) ৯০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইউরোপ যাওয়ার পথে আটকায় লিবিয়ার কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে আট নারী ও তিনটি শিশুও ছিল।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নৌকাটি থেকে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সাগরে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।

লিবিয়ার সমুদ্রে ধরা পড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেক সময় বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

দরিদ্র আফ্রিকা, যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু মানুষের অবৈধপথে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে অন্তত ৪৪ হাজার মানুষ।

যাওয়ার পথে আরও ২৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটকেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড। একই সময়ে সমুদ্রে নৌকাডুবিতে ১১ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।