বিশ্বনেতাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রশংসা করে যেসব বিশিষ্টজনেরা শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এক ভিডিও বার্তায় লেন,, “অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছে রাশিয়া, যিনি একজন লড়াকু নেতা হিসেবে জনগণের স্বাধীনতা ও সুখের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন।”
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সূচনালগ্নে কূটনীতিক হিসাবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের লড়াইয়ের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে৷

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বাংলাদেশকে স্বতন্ত্র একটি পরিচয় দান করেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তিনি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘বাঙালির জোড়া উদযাপনে এই উন্নয়নচিত্রই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জাতির শ্রেষ্ঠ সম্মান। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন নীতিনিষ্ঠ মানুষ। বাংলার মানুষের জন্য তিনি তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন, এই বাংলার ভাষা এবং তাদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য। ”

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী বলেন, “অনলবর্ষী বক্তা, সংগঠক ও যোদ্ধা হিসাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন এবং অর্জন করেছিলেন নতুন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য। এ অঞ্চলের মানুষের কাছেও তিনি পূজনীয় নেতা।”

জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো)-র মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুলাই বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে৷ তার মতে, জাতির পিতার ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ সেই ভাষণে বৈশ্বিক মানবাধিকার ও মর্যাদার মূল্যবোধও প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই সাতই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে স্থান পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান৷ তারপর দর্শনার্থীদের বইয়ে তিনি লেখেন, “বিদেশি শোষণের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে জনগণকে অভূতপূর্ব শান্তি সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথ করে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা জ্ঞাপন করছি।’’