যেভাবে ভোক্তা অধিদপ্তরের নতুন পোর্টালে অভিযোগ জানাবেন

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোক্তাদের অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে কনজুমার কমপ্লেইন ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) শীর্ষক ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এই ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। 

এ সময় সারাদেশে কর্মরত ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকগণ অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

পোর্টালটি আপাতত ঢাকা বিভাগে পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে সারাদেশের ভোক্তারা সহজেই এই পোর্টালের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। 

যেভাবে অভিযোগ দায়ের করা যাবে

প্রথমে একজন গ্রাহক জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ঢুকলেই অভিযোগ জানানোর স্থান দেখতে পাবেন। এছাড়া ওয়েবসাইটে কিউআর কোডও রাখা হয়েছে। পাশাপাশি গুগল সার্চ করেও অভিযোগ জানানোর নির্দিষ্ট লিংক পাওয়া যাবে।

সাইটে ঢুকলেই প্রথমে আসবে পূর্ববর্তী অভিযোগ যাচাইয়ের অপশন, পরে দেখা যাবে ফোন নম্বর, ওটিপি ও অভিযোগকারীর তথ্য দেওয়ার স্থান। সেখানে অভিযোগ ফরমে অভিযোগকারীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম ও অভিযোগের ধরণ পূরণের অপশন থাকবে।

এরপরই আসবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম, অভিযোগের বর্ণনা, বিভাগ, জেলা ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা। এগুলো পূরণ করার পর অভিযোগের প্রমাণপত্র সংযুক্তির অপশন পাওয়া যাবে। সেটিতে আপলোড বাটনে ক্লিক করলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে অভিযোগটি চলে যাবে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে।

অভিযোগটি দাখিলের পরই স্ক্রিনে একটি ট্র‍্যাকিং নম্বর দেখতে পাবেন সেই ভোক্তা বা অভিযোগকারী। সেখানে উল্লেখ থাকবে- ‘আপনার অভিযোগটি সফল ভাবে গ্রহণ করা হয়েছ’। সেই সঙ্গে একই বার্তা ও ট্র‍্যাকিং নম্বরটি মোবাইলে এসএমএসের মধ্যমেও পাবেন সেই ভোক্তা। অভিযোগ করার পর সেটি ডাউনলোড করা, পরবর্তীতে সেই নম্বর ব্যবহার করে অভিযোগটি কোন পর্যায়ে আছে সেগুলোও দেখতে পারবেন ভোক্তারা।

ভোক্তাদের অভিযোগগুলো ভোক্তা অধিকারের সার্ভারে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে আসবে। অভিযোগগুলো যাচাইয়ের জন্য থাকবে প্রশাসনিক প্যানেল। অভিযোগগুলো দেখতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। তিনি সেই অভিযোগ অনুসন্ধান করবেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে তিনি অভিযোগের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন। পরবর্তীতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুনানি পরিচালনা ও অভিযান পরিচালনা করবেন। সবশেষে এই বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে রিপোর্টিং করতে হবে।