ঢাকায় নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাবের দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট : রাজধানী ঢাকার তিন কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘স্টুডেন্টস ফোরাম ফর এনার্জি ট্রানজিশন, জ্বালানি রুপান্তর ও যুবসম্পৃক্ততা’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালা বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে। দিনব্যাপি এই কর্মশালায় তিন কলেজের অনেক নারী শিক্ষার্থী অংশ নেন।

কলেজগুলো হলো, বেগম বদরুনেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ।

সকাল ৯টায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে শুরু হয় কর্মশালা।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক, সাংবাদিক, ক‍্যাবের কো-অর্ডিনেটর (রিসার্চ) প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া, সংবিধান বিষয়ক গবেষক এডভোকেট (সুপ্রীম কোর্ট) আরিফ খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন এন্ড কম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক দিপ্ত বিশ্বাস, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম মিয়া হুসেইনউজ্জামান, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. ডি এম ফিরোজ শাহ এবং বিডিনিউজ২৪ ডটকমের মাল্টিমিডিয়া প্রযোজক আল হাসান রাকিব।

কর্মশালার শুরুতেই বাংলাদেশের সংবিধান পরিচিতি নিয়ে আলোচনা করেন আরিফ খান। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন কৌশলে এবং সহজে শিক্ষার্থীদের সংবিধানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধারণা দেন। এছাড়া সম্পূর্ণ সংবিধান কিভাবে আয়ত্বে আনা যায় সে বিষয়ে কৌশল শিখিয়ে দেন।

একজন চাকরিপ্রার্থীর সমস্ত কিছু ভেসে ওঠে তার জীবন বৃত্তান্তের (সিভি) মাধ্যমে। সেই জীবন বৃত্তান্ত কিভাবে সাজালে বা কিভাবে লিখলে সহজে চাকরি দাতাদের নজরে আসবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন দিপ্ত বিশ্বাস। তিনি প্রফেশনাল জীবন বৃত্তান্ত কেমন হওয়া উচিত, কি কি তথ্য এবং কার্যক্রম জীবন বৃত্তান্তে থাকা উচিত সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঠিক ধারণা দেন।

অনলাইনে সার্ভে করার জন্য কিভাবে ফরম তৈরি করতে হয়, কিভাবে প্রশ্ন সাজাতে হয় তা হাতে কলমে শিখিয়ে দেন ড. এম মিয়া হুসেইনউজ্জামান। তিনি সার্ভে করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা এবং মোটিভেশনাল বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে ড. ডি এম ফিরোজ শাহ। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মানুষ অপার সম্ভাবনার অধিকারী। কিন্তু আমরা সেগুলো উপলব্ধি করতে পারি না। আমাদের প্রত্যেকের একেক ধরনের সম্ভাবনা আছে। সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা পজিটিভ চিন্তা করলে আমরা সবকিছু করতে পারি।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। স্মার্টফোনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজেদের যুক্ত রাখেন তারা। এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে কিভাবে সাংবাদিকতা করা যায়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেশবাসীকে জানানো যায় সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেন আল হাসান রাকিব।

‘জ্বালানি রুপান্তর এবং আমাদের ভবিষ্যত’ এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া। এছাড়া একজন শিক্ষার্থী ভোক্তা হিসেবে প্রতারিত হলে কিভাবে ভোক্তা অভিযোগ ও সমাধানের পথ পাবেন সে বিষয়েও ধারণা দেন তিনি।

সবশেষ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও মতামত দেওয়ার মধ্য দিয়ে কর্মশালা শেষ হয়।

-এসআর