নামেই অন ট্রায়াল, বাজারে সয়লাব

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত বাজার তদারকিতে ২ মে (মঙ্গলবার) রংপুর নগরীর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার অন্তর্গত মুলাটোল ও নূরপুর এলাকায় ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে সংযুক্ত ছিল কনজ্যুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (CAB), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (BFSA),কনসাস কনজ্যুমারস সোসাইটি (CCS) রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (RPMP)। অভিযানে দেখা যায়, মুলাটোলে হক এর গলিতে অত্যন্ত গোপনে অবস্থিত, ‘রেহেনা এগ্ৰো লিঃ’ কারখানা। সেখানে অভিযান দলের নজরে আসে কোনো ল্যাব টেকনিশিয়ান ছাড়াই প্রাণ কোম্পানির অনুকরণে তৈরি হচ্ছিল বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক ও নিম্নমানের রং ব্যবহার করে আইস ললী। এবং বিএসটিআই এর কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়াই প্যাকেটে ভরে প্রতিষ্ঠানের মালিক সেগুলো বিভিন্ন বাজারে বাজারজাত করে আসছেন। এ বিষয়ে উপ-পরিচালক জনাব মোঃ আজাহারুল ইসলাম তার কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তিনি বেশ কিছুক্ষণ পরে স্বীকার করেন এবং বলেন যে, তিনি অন ট্রায়ালে আছেন এবং এমতাবস্থায় কোনো ভাবেই এ ধরনের পণ্য বাজারজাত করা নিষিদ্ধ।

কারখানার অপর সেকশনে ‘আলিম দুধ’ নামে আরও একটি তরল দুধের সংরক্ষণ ও প্যাকেট জাত করণ বিষয় পরিলক্ষিত হয়। সেখানে এসব দুধের প্যাকেটে কোনো প্রকার নাম, ঠিকানা, উৎপাদন, মেয়াদ উত্তীর্ণ, ওজন ও খুচরা মূল্য উল্লেখ নেই।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দুজন কর্মকর্তা দুধ ও আইস ললী এর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৩ ধারায় জরিমানা হয় দশ হাজার টাকা।

অন্যদিকে নূরপুরে অবস্থিত, ‘কিং সুইটস’ এর কারখানায় অভিযান পরিচালনা কালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদন, মিষ্টিতে সাল্টু, হীং, নিম্নমানের রং ও বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করার দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনের একই ধারায় সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দিন।

অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তর রংপুর কার্যালয়ের উপ পরিচালক আজহারুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দিন।