নীলক্ষেতের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: রাজধানীর নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

রোজিনা আক্তার এর আগে জানিয়েছিলেন সন্ধ্যা ৭ টা ৪৮ মিনিটে নীলক্ষেত বইয়ের দোকানে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শুরুতে তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে একে একে আরও ইউনিক যুক্ত হয় আগুন নেভানোর কাজে। সর্বশেষ ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

কিভাবে আগুনের সূত্রপাত সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে এখনও কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একটি দোকানে আগুন লাগার পর তা দ্রুত অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ বলছেন খাবারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত, আবার কেউ কেউ বলছেন বইয়ের দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

অন্যান্য মঙ্গলবার এ মার্কেট বন্ধ থাকলেও ২১ ফেব্রুয়ারিতে গতকাল মার্কেট বন্ধ থাকায় আজ খোলা ছিল এটি।

এদিকে খাজা স্টেশনারি দোকান থেকে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জানান মায়ের দোয়া বুক হাউজের বিক্রয়কর্মী সুমন মিয়া। তিনি বলেন, দোকানটিতে গ্যাস সংযোগের কাজ চলছিল। সেখানে হঠাৎ আগুনের ফুলকি দেখা যায়। পরক্ষণেই সেই আগুন পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে প্রায় ১ ঘণ্টার আগুনে অনেক ব্যবসায়ী রাস্তায় বসেছেন। দোকানের লাখ লাখ টাকার বই পুড়ে যাওয়ায় আহাজারি করছেন তারা।

এ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুহূর্তের মধ্যে আগুন কিভাবে সারা মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ছে তারা বুঝতেই পারেননি। তাই তারা আতঙ্কিত হয়ে জীবনে বাঁচিয়ে কোনো মতে মার্কেট থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু তারা আসার সময় টাকা পয়সাসহ কোনো মালামাল নিয়ে বের হতে পারেননি। আর এই এক ঘণ্টার আগুনে দোকানে থাকা লাখ লাখ টাকার বই আগুনে পুড়ে যায়। আর কয়েক জন ব্যবসায়ী কিছু বই বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতার কারণে তারা ভিতরে যেতে পারেনি।

ব্রাইট কালেকশন নামে একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী রুবেল বলেন, হঠাৎ আগুনে অনেক বড় ক্ষতি হলো। মঙ্গলবার দিন অতিরিক্ত বই মজুদ করা ছিল ভিতরে।