লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে গুলশানের ফিশ এন্ড কো. রেস্টুরেন্ট

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, জেলা প্রশাসক প্রদত্ত নিবন্ধন ও লাইসেন্স নেই, কলকারখানা অধিদপ্তরের নিবন্ধনের মেয়াদ নেই, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই, প্রিমিসেস লাইসেন্স নেই।

রাজধানীর গুলশানের ফিশ এন্ড কো. রেস্টুরেন্টের চিত্র এটি। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করার জন্য যেসব লাইসেন্স প্রয়োজন তার বেশিরভাগই নেই। তারপরেও গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় ব্যবসা করে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার গুলশানের ফিশ এন্ড কো. রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

লাইসেন্স ছাড়াও অভিযানকালে দেখা যায়, কিছু খাবার মোড়কীকরণে লেভেলিং প্রবিধানমালা লঙ্ঘিত, বিদেশি খাদ্য পণ্যে আমদানীকারকের প্রমাণক নেই, রান্না ঘরের ফ্লোর অপরিষ্কার।

এ সকল অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ফিশ এন্ড কো. রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান অনাদায়ে দায়িত্বরত ম্যানেজারকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।

ফিশ এন্ড কো. রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।

ফিশ এন্ড কো. রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন ও ঘাটতি কাগজ পত্র অতিসত্বর সংগ্রহ করবেন।

ম্যাজিস্ট্রেট সজীব জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।”

এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এছাড়া প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার (এফএসও) এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানকালে বিএফএসএর উপপরিচালক মোঃ রকিবুল হাসান, ফুড ইনস্পেকটর মোঃ ছানোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. আব্দুস সালাম মৃধা, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।