অনিরাপদ খাদ্যে বছরে ঝরে ৪ লাখ ২০ হাজার প্রাণ

গত বছর অনিরাপদ খাবার খেয়ে বিশ্বে প্রতি ১০ জনে ১ জন অসুস্থ হয়েছেন। এমনকি অনিরাপদ খাবার খেয়ে বছরটিতে প্রায় চার লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম’ -শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন।

এ সময় তিনি জানান, অনিরাপদ খাদ্য ডায়রিয়া থেকে ক্যান্সারসহ প্রায় ২০০ রোগের কারণ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০২০ সা‌লে প্রতি ১০ জনে ১ জন অনিরাপদ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একই কারণে বছরটিতে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা গেছেন।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।

জা‌তিসংঘ ঘো‌ষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য জড়িত। এসডিজি সূচকে বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম।

দেশের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে করণীয় সম্পর্কে অধ্যাপক ইকবাল রউফ বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাজের পরিধি সুনির্দিষ্ট কর‌তে হ‌বে।‌ খাদ্য পরিদর্শনে সমন্বয় কর‌তে হ‌বে। নিরাপদ খাদ্য আইনের শাস্তি ও জরিমানার সঙ্গে অন্যান্য আইনের সমন্বয়ের তাগিদ দেন তি‌নি।

বিজ্ঞান-ভিত্তিক স্বতন্ত্র বিধি-প্রবিধি প্রণয়ন পরামর্শ দি‌য়ে সংস্থা‌টির সা‌বেক এই সদস্য জানান, ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করা জরুরি। পাশাপা‌শি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে খাদ্য উৎপাদনকারীর করণীয় নির্ধারণ কর‌তে হ‌বে। খাদ্য পরিদর্শনে পরিদর্শকদের করণীয় নির্ধারণ ও হোটেল রেস্টুরেন্টে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণে প্রবিধি প্রণয়ন করার কথা জানান। একইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত ও পথ-খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রবিধি প্রণয়নের তাগিদ দেন তি‌নি।