গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালির নেয়া টাকা কোথায়

ই-কমার্স প্ল্যাটফরম ইভ্যালির গ্রাহক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের থেকে নেয়া অগ্রিম টাকার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইভ্যালির গ্রাহক এবং সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে নেওয়া মোট টাকার অঙ্ক ৩০০ কোটির বেশি। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে সেই টাকার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করে। তদন্তে টাকার খুব সামান্য অংশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে এই বিশাল দায় কীভাবে শোধ করবে ইভ্যালি?টিপু মুনশি বলেন, ইভ্যালি এর মধ্যে যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে, তা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। তাদের ফান্ড কোথায় রেখেছে, অন্য কোনো উৎস আছে কি না তা তদন্তের পর জানা যাবে।

এদিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক ১৫ জুলাই তাদের দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে। মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

দুদক সূত্র জানায়, ইভ্যালির বিরুদ্ধে আগে থেকেই তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের মিলিয়ে ৩০০ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে এসব অর্থ আত্মসাৎ বা পাচার করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান ওই চিঠি পাওয়ার পর দুদকের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, অনুসন্ধানের শুরুতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল গোপনে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের পক্ষ থেকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারির চিঠি ইস্যু করা হয়। গ্রাহকের অর্থ পাচার করা হলে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।

Leave a Comment