করোনা মোকাবিলায় ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন

ভারতে তৈরি প্রথম কোভিড-১৯ টিকা কোভ্যাক্সিন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ কার্যকরী। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। গবেষণাপত্রটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রকাশিত গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, দু’টি কোভ্যাক্সিন টিকা নেওয়ার দু’সপ্তাহ পরে টিকা গ্রহীতার শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক লিমিটেড’ মানবদেহে টিকা পরীক্ষার (হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) তৃতীয় পর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে একই দাবি করেছিল। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সেই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্রও দিয়েছে কোভ্যাক্সিনকে।

২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে দু’টি টিকা নেওয়া ২৪ হাজার ৪১৯ জনের শরীরে পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ৯৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিদের কারও দেহে টিকার ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং কারও মৃত্যু হয়নি।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ ও ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সঙ্গে সমন্বয় করে এই করোনা টিকা তৈরি করবে ভারত বায়োটেক। ভারত বায়োটেকের ডা. কৃষ্ণা এলা বলেন, ‘ল্যানসেটে প্রকাশিত কোভ্যাক্সিনের কার্যকরিতা আমাদের সততার প্রমাণ দেয়। এর থেকেই প্রমাণ হয়ে যায়, টিকার সঠিক মূল্যায়ন করেছিলাম আমরা।’

অন্যদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম ভার্গব জানান, ‘আমাদের ট্রায়ালের খবর ল্যানসেটের মতো জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে জেনে অঅমি খুব খুশি। এটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মেডিকেল জার্নাল। তাদের রিপোর্ট থেকেই প্রমাণ হয় ভারতে তৈরি এই টিকা কতটা কার্যকরী।’