হয়রানি বন্ধ না হলে আর পাঠাও চালাবেন না সোহেল

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক

শুধু ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বা মামলা নয়, হতাশা, অ্যাপস ওয়ালাদের ইনকামের একটি বড় অংশ কেটে নেয়া এবং ঋণ গ্রস্থতা থেকেই রাগ নিজের বাইকে আগুন দিয়েছিলেন পাঠাও চালক শওকত আলী সোহেল।

পাঠাও চালক শওকত আলী সোহেল বলেন, পাঠাও চালিয়ে যা ইনকাম হতো, শতকরা ২৫ শতাংশ অ্যাপওয়ালারা কেটে নিয়ে যায়। তাছাড়া মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই মামলা খেতে হতো। এর আগেও পল্টন এলাকায় আমি মামলা খেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কেরানীগঞ্জ আটিবাজার খোলামোড়া এলাকায় শান্ত স্যানিটারি অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স নামে তার একটি হার্ডওয়ারের দোকান ছিল। সেখানে বিভিন্ন রকম আইটেম ছিল।

করোনার কারণে তার ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এছাড়া তিন সন্তান স্ত্রী ও মা-কে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার চালান তিনি। তার বাবা মুসা মিয়া অনেক আগেই মারা গেছেন। পরবর্তীতে রাইড শেয়ারিং মাধ্যমে এই পাঠাও চালিয়ে তিনি চলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই আমাকে মোটরসাইকেল দিতে চেয়েছে বিষয়টি আমি কিছুই জানি না। কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। নতুন করে কেউ যদি আমাকে মোটরসাইকেলের দেয় তাহলে রাইট শেয়ারিং ও রাস্তায় বের হলেই মামলার হয়রানি, সেগুলোর পরিবর্তন না হলে আমি আর রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে পাঠাও চালাতে ইচ্ছুক না।

এরআগে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে আলোচনায় আসেন অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পাঠাওচালক শওকত আলী সোহেল।

সকাল সারে ৯টার দিকে বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় জনতা ইন্স্যুরেন্সের সামনে ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন শওকত। গত সপ্তাহে ট্রাফিক পুলিশ একটি মামলা দেওয়ার পর এদিন কাগজপত্র দেখতে চাইলে ক্ষোভ থেকে এ কাজ করেছেন বলে জানান।

খবর: বাংলানিউজ