ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও ক্রেতা নেই

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ উঠে এলেও এর বেশি ভাগই ছোট। তাই হাসি নেই জেলেদের মুখে।

ওই এলাকার জেলে মো. সোহেল জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জাল ফেলে ছোট ইলিশ পাচ্ছি। বড় সাইজের ইলিশ তেমন একটা উঠে না। ছোট সাইজের ইলিশের দাম কম হওয়ায় তেমন লাভ হচ্ছে না।

তুলাতুলি মৎস্য ঘাটের আড়তদার মো. আব্দুল খালেক জানান, নদীতে বড় সাইজের ইলিশের পরিমাণ কম হওয়ায় পাইকারি আড়তে বিক্রি করা যাচ্ছে না। জেলেরা যে ইলিশ পাচ্ছেন তার বেশির ভাগই ছোট সাইজের। ছোট ইলিশ আড়তে নিতে চায় না। যার ফলে এসব ইলিশ স্থানীয় বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সকালে শহরের বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, নদীর ইলিশ, পোয়া, পাঙাশসহ বিভিন্ন মাছের ব্যাপক সরবরাহ। মৎস্য বিক্রেতারা ওই সব মাছ নিয়ে সকালে ছুটে এসেছেন।

মো. সোয়েব নামের এক ক্রেতা জানান, বাজারে ইলিশসহ নদীর মাছের ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকিয়ে বসে আছেন যা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

তিনি জানান, ভোলার চারদিকে নদী হওয়ায় মাছের পরিমাণ বেশি। আর নদীর মাছ কারো চাষ করতে কিংবা খাবার দিতে হয় না। এ জন্য তারা সরকারি ভাবে মনিটরিং ব্যবস্থার দাবি করেন।

মাছ ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল হোসেন জানান, বাজারে ইলিশ উঠেছে কিন্তু ক্রেতা নেই। বড় সাইজের ইলিশ খুঁজছেন ক্রেতারা। ঘাট থেকে আমরা বেশি দামে কিনে এনে বিক্রি করতে হয়।

তিনি জানান, খুচরা বাজারে ৩৫০-৪০০ গ্রামের ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা, ৭০০-৯০০ গ্রামের ইলিশের হালি ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ও ১ কেজি ওজনের ইলিশের হালি সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা।

এছাড়াও পোয়া মাছের কেজি ৫০০-৮০০ টাকা, কোরালের কেজি ১২০০-১৪০০ টাকা ও পাঙাশের কেজি ৮০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন জানান, কয়েকদিনের মধ্যে নদীতে বড় সাইজের ইলিশের দেখা মিলবে। তখন বাজারে বড় সাইজের ইলিশেরও সরবরাহ বাড়তে। বিক্রেতারা যে ইচ্ছেমতো দাম হাঁকিয়ে বসে আছেন তার জন্য আমরা দ্রুত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।