করোনার চিকিৎসার নামে প্রতারণা হলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবস্থা

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পুনরায় করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ী একইভাবে পুঁজি করে মুনাফা লাভের চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, যারাই চিকিৎসার নামে জিম্মি, অর্থ-আত্মসাৎ কিংবা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে রাজধানীর শ্যামলীতে বেসরকারি ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল’ এ সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ না করায় চিকিৎসাধীন যমজ শিশুকে জোর করে বের করে দেওয়ার ফলে যমজ এক ভাইয়ের মৃত্যু ও অপর ভাইয়ের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

পরে ভুক্তভোগী মায়ের দায়ের করা মামলার পর সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মালিক গোলাম সারওয়ারকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র‌্যাব।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, করোনা মহামারির সময় করোনাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে মুনাফা লাভের চেষ্টা করেছে, এখনো করছে। আমরা রিজেন্টখ্যাত সাহেদের কথা বলবো। তিনি চিকিৎসার নামে রোগী ও তাদের স্বজনদের জিম্মি করে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ ও হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পুনরায় করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। আবারও সাহেদদের মতো প্রতারক, মুনাফাখোর, অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবানের চেষ্টা করছে। একই লক্ষ্যে অতিরিক্ত মুনাফা ও জিম্মি করে বিল বাড়ানোর চেষ্টা করছিল শ্যামলীর বেসরকারি ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল’।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিদর্শনের বিষয়টি অসাধু ব্যবসায়ীরা আগেই জেনে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এক্ষেত্রে শর্ত পূরণ ছাড়াই কি করে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পায় জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, যখনই কোনো হাসপাতাল অনুমোদন পায়, শর্ত পূরণ করেই পায়। তবে হয়তো কৌশল অবলম্বন করে ইন্সপেকশনের সময় সাময়িকভাবে শর্তপূরণের বিষয়গুলো দেখানো হয়। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইন্সপেকশনের তথ্য আগেই জানার বিষয়টি র‌্যাব অবগত নয়।

তবে তিনি বলেন, আমাদের অভিযান গোপন ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়েই আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে অভিযানে গিয়েছি। আমাদের অভিযান তারা জানতো না বলেই আমরা এতোগুলো অনিয়ম-প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরেছি।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে কমান্ডার মঈন বলেন, এই করোনাকালে আবারো যারা চিকিৎসার নামে রোগী ও তাদের স্বজনদের জিম্মি করে, অর্থ-আত্মসাৎ কিংবা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। চিকিৎসার নামে প্রতারণা করা হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।