প্রতারণার বহু রঙে রঙিন আড়ং

ঢাকা, ৩ জুন সোমবারঃ মোহাম্মদ ইব্রাহীম নামের একজন ভোক্তা গত ২৫ মে আড়ংয়ের উত্তরা শাখা থেকে একটি পাঞ্জাবি ৭৩০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। পরবর্তীতে মাত্র ছ’দিনের ব্যবধানে গত ৩১ মে  একই পাঞ্জাবি তাঁর এক আত্মীয় সেই একই পাঞ্জাবি কিনতে আসলে মূল্য দেখতে পান ১৩০৭ টাকা! এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ হবার ঘটনায় হতবাক ক্রেতা ইব্রাহীম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ জানান।

মূলত, এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিতে আজ অভিযান পরিচালনা করেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। অভিযানে ভোক্তার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে এমন প্রতারণা আড়ং- এর এটিই প্রথম নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও রাজিব হায়দার নামের এক ক্রেতা রাজধানীর মগবাজারের আড়ংয়ের বিক্রয় কেন্দ্র থেকে একটি থ্রি-পিস কেনেন, যার মূল্য ছিল আড়াই হাজার টাকা। একই পণ্য বসুন্ধরা সিটির আড়ং শাখায় রাখা হয়েছে লেগেছে ৩ হাজার টাকা। সেবারও,অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ, সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে আড়ংয়ের উত্তরা শাখাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত একইসাথে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান শেষে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘আড়ং খুবই সুপরিচিত ব্র্যান্ড। তাদের অবস্থাই যদি এমন হয় তাহলে সেটি গ্রাহকদের সঙ্গে একটি বড় ধরনের প্রহসন। এসব অপরাধ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যদি এমন হতো যে, ১৩শ টাকার পণ্য ঈদের জন্য হয়েছে ৭শ টাকা তাহলে সেটি একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হতো। তারা তেমন কিছু না করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রহসন, নৈরাজ্য করছে।’

এদিকে সর্বশেষ জানা গেছে, বিকেলের দিকে আড়ং কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার এবং দুঃখপ্রকাশ করায়, ঈদের বাজার বিবেচনায় তাদরকে আউটলেটটি খোলার অনুমতি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।