শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত বিজ্ঞাপনচিত্র

শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তির একটি চিত্রকে ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে সচেতনতামূলক টিভিসি বিজ্ঞাপনটিতে।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর হাতেই স্মার্টফোন দেখা যায়। বিষয়টা যেন খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা মোটেও স্বাভাবিক বিষয় না, এই ব্যাপারটাকে স্মার্টফোন আসক্তি বলা হয়। শিশুরা এখন স্মার্টফোনে কার্টুন বা গেমস খেলায় আসক্ত। সন্তানের এই আসক্তির দায় আসলে কতটা বাবা মায়ের বা তার পারিপার্শ্বিকতার সেই বিষয়টিই আবার আলোচনায় এসেছে বিজ্ঞাপনটি প্রচারের মাধ্যমে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বিজ্ঞাপনটি ৷

ছোট-বড় সবাই দেখছেন ও প্রশংসা করছেন সময়োপযোগী এই সচেতনতামূলক টিভিসিটির ৷ এখানে তুলে ধরা হয়েছে শিশুদের মোবাইল আসক্তির মতো ভয়াবহ ব্যাধির কথা ৷ কয়েক বছর আগেও ফোন ছিল কেবলমাত্র কথা বলা বা ম্যাসেজিং করার মাধ্যম, এখন সেটা সব ধরনের কাজেই ব্যাবহার করা হয়। স্মার্টফোনে আজকাল ছোট বড় সবাই আসক্ত। স্মার্টফোন থেকে যেন চোখ সরানোয় দায়। শিশুরা ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাচ্ছে  গেমস্ এবং কার্টুন দেখা নিয়ে।

স্মার্টফোন হাতে দিলেই শিশুরা এখন আর জ্বালাতন করছে না তাই বাবা মা-ও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচছে ওদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে। কিন্তু এর ভয়াবহতা সম্পর্কে কেউই সর্তক নয়।বিজ্ঞাপনটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, WHO-এর গবেষণা অনুযায়ী প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারে ক্ষতিকর রেডিয়েশনের কারণে চিন্তাশক্তি হ্রাস, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, এমনকি মস্তিষ্কের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরণের জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউনের সময় দেশের ৯০% পরিবারের শিশুদের হাতে খেলনার পরিবর্তে এখন স্মার্টফোন দখল করে নিয়েছে।

শিশুরা প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে যা ওদের ভবিষ্যতের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সুস্থ ও সুন্দর বিকাশে জন্য  শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলা করা উচিত এবং বাবা মায়ের উচিত শিশুদের  পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। এতে শিশুরা সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারবে। শিশুদের কথা ভেবেই ‘এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিকস’ তাদের টয়েজ আইটেম ‘ক্যাপ্টেন বাইক’ নিয়ে গণসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করেছে। প্রতিটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমাজের সমসাময়িক সমস্যা দূর করার জন্য এমন শিক্ষামূলক ভিডিও কন্টেন্ট নির্মাণ করলে সবাই আরো সচেতন হবে এবং ভালো কিছু শিখতে পারবে।