বালিয়াকান্দিতে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার উপজেলার সোনাপুর বাজার ও রামদিয়া বাজার এলাকায় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান।

তদারকিকালে রামদিয়া বাজারের মেসার্স হামিদ ড্রাগ হাউসকে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথ ভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫
ও ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে তিন হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।

মুসলিম মিষ্টান্ন ও দধি ভান্ডারকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।

মেসার্স ওএস মেডিকেল হলকে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথ ভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে তিন হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।

এদিকে, মেসার্স সরকার ফার্মেসীকে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে চার হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।

তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে নির্ধারিত নিত্যপণ্যের মূল্য যথাযথ ভাবে বিক্রয় সঠিকতা যাচাইসহ ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও প্রতিদিন হালনাগাদকরণ, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ পণ্যের বিক্রয়রোধ, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরকার নির্ধারিত বিধির অধীন যথা নিয়মে ক্রয়-বিক্রয়
করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও জেলা চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এবং জেলা ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দ ও উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের অংশগ্রহণে উপর্যুক্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

জনস্বার্থে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।