দেশে এমন কোনো বিদেশি কসমেটিকস নেই যেটি নকল হয় না: ভোক্তার ডিজি

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাংলাদেশে এমন কোনো বিদেশি কসমেটিকস নেই যেটি নকল হয় না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইনে কর্মরত সংবাদ কর্মীদের মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদানের বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব বাংলাদেশ (এএসবিএমইবি) এর মাঝে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তার ডিজি বলেন, আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বহুবার দেখেছি, কসমেটিকস প্রোডাক্ট যেভাবে নকল এবং ভেজাল হচ্ছে, তা খুবই ভয়াবহ। বাংলাদেশে এমন কোনো বিদেশি কসমেটিকস নেই, যেটি নকল হয় না। এটাই বাস্তবতা। এ বাস্তবতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, নকল বা ভেজাল কসমেটিকসে যে হেভি মেটাল বা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেটা ত্বক তো নষ্ট করেই, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে এসে ক্যানসারসহ নানা রকম ব্যাধি সৃষ্টি করে। সৌন্দর্য্য চর্চার জন্য কসমেটিকস ব্যবহার করে যদি উল্টো ক্ষতি হয়, সেটি তো হতে পারে না। এটির জন্য কসমেটিক পণ্যের সঙ্গে জড়িত সবগুলো পক্ষই দায়ী। আর এতে করে যারা বৈধভাবে ব্যবসা করে তারাও টিকে থাকতে পারছে না। সবশেষে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নকল ও ভেজাল কসমেটিকস পণ্য বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে চাই। তাই দেশীয়ভাবে প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কেননা এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে।

স্কিন কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টস (কসমেটিক) পণ্য ব্যবহারে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে যৌথ ভাবে মিডিয়া ফেলোশিপ দেওয়ার আয়োজন করছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব বাংলাদেশ (এএসবিএমইবি)।

এ বিষয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি আমরা এই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিলাম। আমরা অনেকগুলো কার্যক্রমে একসঙ্গে সম্পৃক্ত হবে সে কথাই সমঝোতা স্মারকে বলা ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমরা একটি মিডিয়া ফেলোশিপ কার্যক্রম যৌথভাবে করছি। এটি আমাদের উভয়পক্ষের জন্য অত্যান্ত আনন্দের।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইনে কর্মরত ৩০ জন সংবাদকর্মীকে এ ফেলোশিপ দেওয়া হবে। ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে স্কিন কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টসের বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে৷ যাতে নির্বাচিত গণমাধ্যমকর্মীরা এসব কসমেটিকস ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরিতে গভীর অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন। ফেলোশিপের জন্য ইচ্ছুক গণমাধ্যমকর্মীরা অনলাইনে অথবা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।

এ সময় এএসবিএমইবি এর আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা ও এএসবিএমইবি-এর যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।