অনলাইনে নতুন বলে ছেঁড়া শাড়ি দেওয়ার অভিযোগ

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: অনলাইনে ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে নতুন জামদানি শাড়ি অর্ডার করে ছেঁড়া এবং রিপু করা শাড়ি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী ক্রেতা।

সম্প্রতি ভুক্তভোগীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা জানিয়ে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রের কল সেন্টারের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, “Farista” নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আমি একটি জামদানি শাড়ি অর্ডার করি গত অক্টোবর মাসে। তারা অর্ডারটি কনফার্ম করে কিন্তু এক সপ্তাহ পরে বলে শাড়িটি নেই। অন্য একটি শাড়ি যেন আমি নেই। আমি রাজি হয়ে অন্য একটি শাড়ি পছন্দ করি এবং অর্ডার দেই।

ভুক্তভোগী জানান, শাড়িটি ফুল ফ্রেশ বলে তারা আমার কাছে বিক্রি করেন এবং আমি বাসায় না থাকায় আমার ভাই শাড়িটি রিসিভ করেন। আমি যখন শাড়িটি দেখি তখন দেখতে পাই শাড়িতে তিন জায়গায় রিপু করা এবং এক জায়গায় ছেঁড়া। এ ঘটনার পর আমি মেসেঞ্জারে তাদের ভালো ভাবেই বিষয়টি জানাই এবং তখন আমাকে অন্য একটি শাড়ি পছন্দ করতে বলে। এ ঘটনায় আমি তাদের ঠিকানা নিতে চাই। কারণ আমি শাড়িটি ফেরত দিতে চেয়েছিলাম। তারা আমাকে অন্য একটি শাড়ি দিয়ে চেঞ্জ করার কথা বলে। তাতেও আমি তাদের সুযোগ দেই। কিন্তু তারা আমাকে কিছু দিন ঘুরিয়ে আর আমার মেসেজের রিপ্লাই করেননি।

অভিযোগে তিনি আরও জানান, এরপর আমি তাদের বলি যে আমি অ্যাকশনে যাব, তখন মেসেজের রিপ্লাই করে। কিন্তু আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেনি। উল্টো আমাকে বলে যে শাড়িটিতে এমন কোনো সমস্যা নেই যে অ্যাকশন যাবেন, আর রিপু করা সেটাও না কি ফ্রেশ শাড়ি। আমি তাদের বলেছি যে এটা বলে বিক্রি করা উচিৎ ছিলো কিন্তু তাদের ব্যবহার অনেক খারাপ।

ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করুন যেন আর কোনো অনলাইন বিক্রেতা মানুষকে ঠকাতে না পারে।

অভিযোগ দায়ের করার সময় প্রমাণস্বরূপ কিছু স্ক্রিনশট প্রদান করেছেন তিনি।

ভুক্তভোগীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে প্রতিকারের জন্য দ্রুত ভোক্তা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছে ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রের কল সেন্টার। অভিযোগটি শুনানির জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

“Farista” নামের ফেসবুক পেইজে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ডিফেক্ট জামদানি শাড়ি উল্লেখপূর্বক বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা।

যেহেতু অভিযোগটি শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ, সেহেতু অভিযোগকারীর নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি।

-এসআর