এফ-কমার্স পেজে প্রতারণার হার বেশি

অনলাইন শপিং নিতান্তই আরামদায়ক এবং একইসাথে লাভজনক হলেও প্রতারণা কিংবা হয়রানির কারনে
সেই আরাম মূল্যহীন হয়ে যায়। সেই অনুপাতে এফ-কমার্স পেজে প্রতারণার হার বেশি।

অভিনব কায়দায় কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) একটি পেইজ আর কিছু পণ্যের
ছবি দিয়েই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি চক্র। সম্প্রতি ঠিক এরুপ একটি অভিযোগ উঠে এসেছে ভোক্তা
অভিযোগ কেন্দ্রের নিকট।

অভিযোগে ভুক্তভোগী মোবাসেরা ইফাদ জানায়, তিনি Fashionholic নামক একটি এফ-কমার্স পেজ থেকে প্রতারিত
হয়েছেন। উপায় না দেখে তিনি অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী ২ জুলাই এই পেইজ থেকে একটি ১৪০০ টাকার জামা অর্ডার করেন। তারা প্রি-অর্ডারে জামার অর্ডার নেয়। তাই আগে ৬০% টাকা এডভান্স করতে হবে বলে জানায় তারা। তিনি তাদের ৮৪০ টাকা পাঠায়। কিন্তু যে তারিখে ড্রেস দেওয়ার কথা ছিল সেই তারিখে দেয় নি। তিনি ফোন করে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের ফোন বন্ধ পান এবং তাদের পেইজ ফেইসবুক থেকে উধাও। মেসেজ অপশন ও বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।

এফ-কমার্স পেজে প্রতারণার হার বেশি

প্রতিদিনই অনেক মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া, এফ-কমার্স কিংবা অনলাইন সাইট থেকে নানাভাবে হয়রানির শিকার
হচ্ছেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিছু প্রতারক চক্র। এসকল প্রতারণা রুখতে আমাদের
এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

অনলাইনে যেকোন পণ্য কেনার আগে কোম্পানির ওয়ারেন্টি পলিসি এবং রিটার্ন পলিসি সম্পর্কে সচ্ছ ধারণা থাকা জরুরী।
নির্ধারিত পণ্যের ওয়ারেন্টি কত বছর ও রিটার্ন করার পদ্ধতি কি; এগুলো জেনেই পণ্যটি অর্ডারের সিদ্ধান্তে আসা উত্তম।

পছন্দের পণ্যটি আসল নাকি নকল, সেটা যাচাই করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল দ্রব্যের রেটিং ও রিভিউ। কোন পণ্যের
রেটিং কিংবা রিভিউ আপনার পূর্ববর্তী ক্রেতার সর্বশেষ শপিং অভিজ্ঞতার ফসল,তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা বা সন্দেহের কোন
সুযোগ নেই। এই রেটিং অথবা রিভিউ ভালভাবে যাচাই ও বাছাই করে পণ্যটি সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ধারণা নিয়ে পণ্য ক্রয়ের
সিদ্ধান্তে আসতে পারেন খুব সহজেই।

এছাড়াও আমাদের সকলকেই অনলাইনে যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য অর্ডার করে অন্তত কত দিনের মধ্যে ডেলিভারি
পাবো, সেটার ধারণা থাকাটা অবশ্যই দরকার। অর্থাৎ পণ্য ডেলিভারির সময়সীমা জানা না থাকলে ভোক্তার চিন্তারও কোন
সীমা থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক না? তাই আমাদের সবাইকে এইদিকে সচেতন হতে হবে।

ভোক্তাদের হয়রানি বন্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাথে কাজ করছে ভোক্তাকণ্ঠ।

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, “যে কোন ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন
ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক
বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন”।

কিভাবে অভিযোগ করবেন:

দায়ের করা অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে। ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েবসাইট ইত্যাদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বা অন্য কোনো
উপায়ে অভিযোগ দিতে হবে। অভিযোগের সঙ্গে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রসিদ সংযুক্ত করতে হবে। অভিযোগকারী তাঁর পূর্ণাঙ্গ
নাম,ঠিকানা,ফোন,ই-মেইল ঠিকানা এবং পেশা উল্লেখ করবেন।

ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ। তাই অভিযোগ করুন এবং ভোক্তাকণ্ঠের পাশে থাকুন।


এইচ এম || ভোক্তাকণ্ঠ

ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন
আরো সংবাদ দেখুন: ফাল্গুনী শপের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই, পণ্য, রিফান্ড কিছুই দিচ্ছে না আদিয়ান মার্ট, কচ্ছপ গতিতে ডেলিভারি দিচ্ছে REDX